অনেক কেঁদেছি আমি। সাক্ষী চাঁদ, আঁধারের রাত হু হু বাতাসের যত জোনাকি। ভীষণ চেয়েছি তাকে সাপে কাটা নীল বুকটা যেন মমি করে রেখেছে। অনেক কবিতা লিখেছি। খেয়েছি লক্ষ লক্ষ সিগারেট বিরহ-পাতার মত ঝরে গেছি কত খাঁ খাঁ শ্মশানে হায় এ শহরে, মেয়ে, তোমার কি তা জানা আছে?
অনেক পুড়েছি আমি। নদের চাঁদ হয়ে বেড়িয়েছি ঘুরে বন-বনান্তে কতবার অনন্য স্বস্তির সেই মহুয়ার খোঁজে- পাইনি বলে ব্যাবিলনের চৌকাঠেই আজ জায়গা হয়েছে। অনেক ক্ষয়েছি আমি। কত প্রহর, আবাদি মাঠ গেছে ডুবে প্যাসিফিক আকুলতা ভরা অক্ষম নির্মম তোড়ে জানলে কি মেয়ে দিতে সাড়া, একটু ডাকতে কাছে?
অনেক শিখেছি আমি। হইনি মরুভূমি তবু বলি চাইনা ঐ পিটুইটারিয় ঘোড়া যে ভেঙ্গে দেবে সাজানো তোড়া ফুলদানি বিষণ্ণ আবারো। জেনেছি দ্বৈত-স্বপ্ন মায়া পুরোটা। অনেক পেয়েছি আমি। এর চেয়ে বেশি ব্যথা মেলে না অতীতের এই আন-স্মার্ট, মূর্খ, চাষা হবে না যন্ত্রণা তোমার আর খামোকা ডাকবেনা। চাতকের এই-ই কামনা।
অনেক হেরেছি আমি। চিনেছি অবশেষে -বাঁচবার প্রতীতি- আর নয় কোন বেদনা-এলিজি, নয় ক্ষেদ নিষ্ফল আকুতি একাকী রেহেল আজ তৃপ্ত-সুখী, বোধে জ্বালিয়েছে শত বাতি। অনেক সয়েছি আমি। গিলেছে মিনোতাউর তবু কিছু বলি নি কিন্তু আর নয় নারী-আজো কুহকে দেখি দুর্বাসার হাতে ছুরি- রক্তে ভাসো তুমি। পুলকিত হই-‘ভালোবাসা’ তোমাকে ভুলি নি।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
আহমেদ সাবের
ভীষণ সুন্দর একটা নান্দনিক কবিতায় প্রথম প্যারাটা বড় বেমানান লাগল আমার কাছে। "অনেক কবিতা লিখেছি। খেয়েছি লক্ষ লক্ষ সিগারেট " - বড় সাদামাটা হয়ে গেল না কবি? তার পরও, ভাল লাগার পাল্লা অনেক ভারী।
মিলন সরকার
অনেক কবিতা লিখেছি। খেয়েছি লক্ষ লক্ষ সিগারেট
বিরহ-পাতার মত ঝরে গেছি কত খাঁ খাঁ শ্মশানে-------- মুগ্ধ করা কবিতা। লক্ষ লক্ষ সিগারেট - কেমন যেন বেমানান। ধন্যবাদ।
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।